লায়ন সোবহান হাওলাদার
বন্ধুত্ব কখনো একপাক্ষিক হয় না, সেখানে উভয়ের স্বার্থ থাকা স্বাভাবিক। এবারে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর সেরকমই কীছু একটা । এখানে দুই দেশের স্বার্থ রক্ষার কৌশলের পাশাপাশি বন্ধুত্ব উচ্চমাত্রায় পৌঁছাবে। পরবর্তীতে এসম্পর্ক ধরে রাখাই হবে চ্যালেঞ্জ কেননা পাশে একটি বৃহৎ রাষ্ট্র যার সাথে চীনের সম্পর্ক আশানুরূপ নয়। বন্ধুত্ব করা যতো কঠিন তার চেয়েও কঠিন হবে কন্টিনিউ করা। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্ব গাঢ় করতে চায় চীন। তার প্রমাণস্বরুপ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে প্লেন পাঠিয়ে নিজ দেশে নিয়ে গিয়েছে চীন। সচরাচর এধরণের নিদর্শন কম দেখা যায়। বিগত সরকার ভারত, রাশিয়া ও চীনের সাথে সমানতালে সম্পর্ক রেখে চলার চেষ্টা করেছে কিন্তু সম্পর্কের জোয়ার-ভাটা ছিল দৃশ্যমান। বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারকেও সম্পর্কের ব্যালেন্স করতে হবে অন্যথায় শত্রুতাচরণ আরও বাড়বে যা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে সহায়ক ভূমিকা পালণ করবে। দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান অস্থিতিশীল ভূ-রাজনৈতিক অবস্থায় দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রেখে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে ভিশনারি, দেশপ্রেমিক, দক্ষ, সৎ,
সাহসী ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল লিডারশীপের বিকল্প নেই।