লায়ন সোবহান হাওলাদারঃ
সংগঠনে নেতৃত্বের কোন্দল দেখা দিলে কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায় ফলে বিশাল জনগোষ্ঠী হয়ে যায় নেতৃত্বশূন্য যা কোনোভাবেই সংগঠনের জন্য মঙ্গলজনক নয়।
আজকে যারা ফারিয়ার নেতৃত্বে তারা একসময় ঔষধ কোম্পানির সেলস এন্ড মার্কেটিং এ জব করতেন। ফিল্ডফোর্স যারা স্পষ্টভাষী, অন্যায়ের প্রতিবাদকারী তাদের কোম্পানির সুবিধাভোগী একশ্রেণির দালাল ম্যানেজমেন্ট পছন্দ করেন না ফলে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয় অথবা চাকুরিচ্যুত হতে হয়। এদের অধিকাংশ অন্য কোথাও চাকরির চেষ্টাও করেন না। অনেকেই বনে যান বিশিষ্ট ঔষধ ব্যবসায়ী কেননা তারা ঔষধ সম্পর্কে ভালো বুঝেন। ঔষধ ব্যবসায়ের সাথে জড়িত নেতাদের অবজ্ঞা করা অনুচিত কেননা চাকুরিচ্যুত হয়ে বা চাকরি ছেড়ে কালকে যে আপনি ফার্মেসি ব্যবসা বা অন্য কোনো ব্যবসায় আসবেন না তার নিশ্চয়তা কোথায়?
একবার ভেবে দেখুন চাকরি করে কেন্দ্রীয় ফারিয়ার নেতৃত্ব দেয়া কী সম্ভব? একথা অনস্বীকার্য ২০১৬ সাল থেকে কেন্দ্রীয় ফারিয়ার সফল নেতৃত্বে আজকে ফারিয়া সারাদেশে একটি পরিচিত সংগঠন যদিও সিরাজগঞ্জ ফারিয়ার জন্ম ১৯৭৫ সাল। দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় ফারিয়ার নেতৃবৃন্দের অবদান স্বীকার করতেই হবে এবং নাম উল্লেখ করলে কমপক্ষে ৫০/৬০ জনের নাম লিখতে হবে তাই লিখলাম না।
কীছু ভুল-ত্রুটি সংগঠনকে স্থবির করে দিয়েছে যা থেকে সবাই সহনশীল হয়ে উত্তরণ দরকার। ফারিয়ার সদস্যরা নানা মতাদর্শের কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংগঠনে আমরা ফারিয়া সদস্য এবং দাবি আদায়ে আমরা থাকবো সচেষ্ট । মনে রাখতে হবে, যখন একা থাকি তখন আমরা ব্যক্তি কিন্তু ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমরা শক্তি। ঐক্যবদ্ধ ফারিয়াই গঠন করতে পারে বৈষম্যহীন ফার্মা কর্মস্থল যেখানে থাকবে না অনৈতিক ব্যবসায়ীক চাপ ও বেতন বৈষম্য।
থাকবে সুনির্দিষ্ট কর্মঘন্টা, চাকরির নিশ্চয়তা, প্রোমোশনে স্বচ্ছতা, ৫% লভ্যাংশ ভাগের নিশ্চয়তা, ইত্যাদি।
নেতৃত্বে “ইগো ” একটি মানসিক প্রবৃত্তি যা সহজে নিরসন করা যায় না এবং নিজেকে অপরের চেয়ে যোগ্য ও শ্রেষ্ট মনে করে। সব পর্যায়ে চেষ্টার পরেও যখন ইগো নিরসন হয় না তখন সংগঠন ভাঙ্গনের মুখোমুখি হয়। নেতৃত্ব আলাদা হলেও সাধারণ সদস্যরা নিজেদের সুরক্ষার জন্য ভিন্ন ভিন্ন নেতৃত্বের ছায়াতলে যেতেই পারে। এক্ষেত্রে বিরুপ মন্তব্য না করে সময়ের উপর ছেড়ে দেয়া বাঞ্ছনীয়। আজকে যারা শত্রু ভাবাপন্ন একসময় ছিল পরস্পর পরম বন্ধু। হয়তবা একসময় আবার বন্ধু হয়ে যাবে সে সময়ের অপেক্ষায় থাকবে সদস্যরা। নেতৃত্বের গ্যাঁড়াকলে সদস্যরা হয়ে যায় বহুধাবিভক্ত অথচ নেতারা একবারও ভাবে না কাজটি ভালো হচ্ছেনা। নেতাদের প্রতি অন্ধ ভালোলাগা বাদ দিয়ে সংগঠনকে ভালোবাসুন ও শক্তিশালী করুন। সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী হইলে একসময় সঠিক নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ। আপাতত
Survival For The Fittest.